নারায়ণগঞ্জকে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইইডিসিআর। সেই সতর্কবার্তা পেয়ে নারায়ণগঞ্জে করোনা বিস্তার রোধ করতে আঁটঘাট বেধেই নেমেছে জেলা প্রশাসন
সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো: জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে রেড জোনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে রোববার (৫ এপ্রিল) রাত ৮টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে জেলা প্রশাসক মো: জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে করোনা বিষয়ক এক জরুরি সভা করে জেলা প্রশাসন।
সভায় সেনা কর্মকর্তারাসহ উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, র্যাব-১১ অধিনায়ক লে. কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।
সভায় কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে সোমবার সকাল থেকেই নগরীর সব এলাকাসহ সদর উপজেলার ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি রাস্তায় চলাচলকারী সব শ্রেণির মানুষকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করতে প্রায় সব পাড়া মহল্লায় সড়কগুলোতে ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছেন স্থানীয়রা। যে কারণে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ নগরী। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও তাদের টহল অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে ফতুল্লা বিসিক শিল্পনগরী ও সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে বেশ কয়েকটি করাখানা খোলা রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মো: জসীম উদ্দিন শিল্প পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক আরও জানিয়েছেন, আইইডিসিআর নারায়ণগঞ্জকে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত কারায় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে যা করা দরকার তাই করা হবে।
তিনি আরও জানান, প্রয়োজন প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থানে যাবে এবং নিয়ম শৃঙ্খলা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানুষকে ঘরে রাখতে যা যা করা দরকার নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন তাই করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন জেলা প্রশাসক।