অনলাইন ডেস্ক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পেল ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী। শুক্রবার দিনগত রাতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে ওই তরুনীকে উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায়।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়হীনতায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত কোন মামলা বা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।
উদ্ধারকৃত তরুণী জানায়, তিন বছর আগে রিয়াদ হোসেন রাফি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। নানা কারণে বছর খানেক আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার বাসিন্দা লিনা নামের এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয়।
লিনার সাথে তার একাধিক বার দেখা-স্বাক্ষাতও হয়। লিনার জন্মদিন উপলক্ষে ওই তরুণীকে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। এ জন্য লিনা টিটো (২১) নামের এক যুবককে তাকে আনতে পাঠায়। গত বৃহস্পতিবার টিটো তাকে সাথে করে এনে দৌলতদিয়ার একটি বাড়িতে রেখে যায়। এক পর্যায়ে সে জানতে পারে তাকে যৌনপল্লীতে পাচারের জন্য এখানে আনা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরে ওই বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া তরুণীর পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়।
তাঁর নির্দেশে রাতে ওই তরুণীকে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতি (এমএমএস) পরিচালিত সেভ হোমে রাখা হয়। কার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত বলতে পারব না, কারণ যে কাগজে নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সেটা এখন আমার কাছে নেই।
মুক্তি মহিলা সমিতির কর্মকর্তা আতাউর রহমান খান জানান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও উপজেলা নির্বাহী সারের নির্দেশে আমারা ওই তরুনীকে সেভ হোমে রাখি। তাদের নির্দেশেই শনিবার ওই তরুণীকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পৌছে দেই।