এম কে মনির,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হলো সীতাকুণ্ডের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম আসর বারামখানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ৩য় বর্ষপূর্তি উৎসব ২০২০। প্রথিতযশা রাজনীতিবীদ,সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিক,আবৃতিকারকও শিশু কিশোরদের যৌথ অংশগ্রহণে বারামখানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বর্ষপূর্তি উৎসব ২০২০ সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় রুপ নেয়।২৮ নভেম্বর শনিবার বিকাল চারটায় সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উৎসবে স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আ ম ম দিলসাদ। এর আগে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত সকলে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সুরাইয়া বাকের।এতে বারামখানার সভাপতি রায়হান উজ জামান চৌধুরী নাহিদ এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা ভূঁইয়্যা সামী আল মুজতবা শুভ,সীতাকুণ্ড লায়ন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কামরুদ্দোজা।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দীপ্তঙ্কর ও অর্থ সম্পাদক প্রিতম সৌমের যৌথ সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইপসার সদস্য শামীম, সংগীত শিল্পী ওস্তাদ অরিন্দম চক্রবর্তী, সুরাঙ্গন খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদিকা মুন্নি সেন,সীতাকুণ্ড ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান,ছাত্রলীগ নেতা মাকসুদ খান, আশারাফ শোভন,
সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাংবাদিক এম কে মনির, কবি বাসু দেব নাথ, বারামখানার সাংগঠনিক সম্পাদক পাতা দে বৃষ্টি, সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর সিনিয়র সহ সভাপতি জয়নাল আবেদীন, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আল হোসাইন আয়াস, বারামখানার সদস্য সাদেক,নিবেদিতা,হারুন উর রশীদ, প্রথম প্রহর ফাউন্ডেশন এর সভাপতি জিল্লুর রহমান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম সোহেল,ডিডিএফ এর প্রধান নির্বাহী ইলিয়াস ভূইয়্যা,মানবতা ফাউন্ডেশন এর সভাপতি রণি খানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকমন্ডলী।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্বাগত বক্তব্য আনেন উদ্বোধক আ ম ম দিলসাদ। এসময় তিনি বলেন, বারামখানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হচ্ছে সীতাকুণ্ডের সাংস্কৃতিক অঙ্গণের অন্যতম ধারক বাহক। এই সংগঠনের পথচলা বেশি দিন না হলেও খুব অল্প সময়ে সংগীত, নৃত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চায় সংগঠনটি সীতাকুণ্ডের সাংস্কৃতিক মনা ব্যক্তিদের প্রাণের সংগঠনে রুপ নেয়। এসময় তিনি দেশে চলমান সাংস্কৃতিক ষড়যন্ত্রের তীব্র ও দাঁতভাঙা জবাব দেন।বাংলার মাটিতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা বরদাশত করা হবে না। এসব ষড়যন্ত্র শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে সকলকে রুখে দাঁড়াতে আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সুরাইয়া বাকের।
এসময় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণ, শীত বস্ত্র বিতরণ, সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
করোনাকালীন মানবিক অবদানের জন্য সীতাকুণ্ড স্বেচ্ছাসেবক টীম, ওলামা পরিষদ,সনাতনী সৎকার কমিটি,গাউসিয়া কমিটি সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যাতে বিজাতীয় সংস্কৃতির অপচর্চা শিক্ষনীয় মঞ্চ নাটক,সংগীত পরিবেশন করেন দেশবরেণ্য সংগীত শিল্পী ও বাদ্য শিল্পীগণ।
বারামখানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি রায়হান উজ জামান চৌধুরী নাহিদ বলেন,বারামখানা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষদের একটি প্রিয় আসর।পাশাপাশি এই সংগঠন মানবিক কাজেও পিছিয়ে নেই।করোনাকালীন আমরা হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে সংগঠনের কাজ পরিচালিত করেছি।সীতাকুণ্ডের দুঃস্থ মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি।সম্প্রতি সীতাকুণ্ডের নিজতালুক গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে আমাদের সংগঠন বারামখানা। ভবিষ্যতেও সীতাকুণ্ডের মানুষের যেন পাশে থাকতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই জানিয়েছেন বারামখানার সভাপতি রায়হান উজ জামান চৌধুরী নাহিদ।