৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ও করোনার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের ভ্রমণ পরিকল্পনা স্থগিত করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় মঙ্গলবার এই সতর্কবার্তা দেয়া হয়। ব্রিটিম সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়।
এর আগে ওমিক্রন ঠেকাতে ভ্রমণে বিধিনিষেধ জারি করে ৫০টির বেশি দেশ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রমাণ মেলার অন্তত দশদিন আগে ইউরোপে ওমিক্রনের উপস্থিতি ছিল। নেদারল্যান্ডসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে তা ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়া প্রথমবারের মতো জাপান ও ব্রাজিলে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। পোল্যান্ডে এপ্রিলের পর থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় মঙ্গলবার রেকর্ড করোনা পাঁচ হাজারের বেশি শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় ও হাসপাতালে চাপ বাড়ায় করোনার বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর ভ্রমনকারীদের করোনা পরীক্ষায় কড়াকড়ি করেছে। অস্ট্রিয়া সর্বাত্মক লকডাউনের মেয়াদ আরও ২০ দিন বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে আবারও উচ্চমাত্রার ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে সতর্কও করে সংস্থাটির প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রিয়েসাস।
এছাড়াও ওমিক্রনের প্রভাবে করোনার নতুন ঢেউ শুরু হলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে বলেও সতর্ক করেছেন সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা। তবে ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে এখনো কোন ব্যক্তির প্রাণহানি হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা। তবে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশগুলোকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে দিতে পারে বলে সতর্ক করেন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি। দ্রুত সংক্রমণশীল ভাইরাসটি বিদ্যমান টিকাগুলোর খুব একটা কার্যকর হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।