কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের টেপারকুটি মন্ডল পাড়ায় এক অবৈধ বালু তোলার ড্রেজার মেশিনে আগুন দেয়ার অভিযোগে কচাকাটা থানার এসআই শাহজালাল উদ্দিনকে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঘটেছে এ ঘটনা। এ ঘটনার খবর পেয়ে কচাকাটা থানার আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই স্থানীয় এক যুবক তাকে মুক্ত করে থানায় পাঠান।
ড্রেজার মালিকদের অভিযোগ, প্রতি মাসে ড্রেজার প্রতি ৫ হাজার টাকা দিতে হয় ওই এসআইকে। টাকা দিতে দেরি হলে ড্রেজার ভাঙচুর করেন। তবে টাকা নেয়ার কথা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই এসআই।
জানা যায়, মন্ডলটারী গ্রামের জৈনক সুলতান আহম্মেদ বারুর বাড়ির পিছনে একটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে দুধকুমার নদীর পাশে ব্যক্তি মালিকাধীন জমি থেকে বালু উত্তোলন করেন ড্রেজার মালিক শহিদুল ইসলাম। সে বালু দিয়ে দামাল গ্রামের জৈনক ছালাম মিয়ার বাড়ির পাশের খাল ভরাট করা হচ্ছিল।
শহিদুল ইসলামের দাবি, প্রায় এক মাস ধরে বালু তুলছিলেন। গত মাসের (জুলাই) ২৮ তারিখে এসআই জালাল উদ্দিনকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। এ মাসেও টাকা চেয়েছেন। তিনি দুপুরে এসে মেশিনে আগুন দেন। বাড়ির পাশে মেশিনে আগুন দেয়া এবং বাড়িতে আগুন লাগার আশঙ্কায় গ্রামবাসী এসে আগুন নিভায় এবং এসআইকে মন্ডলপাড়া জামে মসজিদের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে।
অন্য ড্রেজার মালিক শাহালম সাংবাদিকদের জানান, প্রতি মাসে তাকে (শাহজালাল) ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দিতে হয়। গত মাসে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি ওই এসআইকে।
এসআই শাহজালাল উদ্দিন জানান, দুই গ্রামবাসীর অভিযোগে অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করতে যাই। সেখানে আগুন দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। গ্রামবাসী আমাকে আট-দশ মিনিট অবরুদ্ধ রাখে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরে ড্রেজারের পাশের বাড়ির মালিক বারু নামের এক যুবক আমাকে সেখান থেকে নিয়ে আসে। প্রতি মাসে ড্রেজার প্রতি টাকা নেয়ার কথা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন পুলিশের ওই এসআই।
সুলতান আহম্মেদ বারু জানান, আমি বাড়ি ছিলাম না। খবর পেয়ে এসে দেখি ঝামেলা চলছে। পুলিশের ওই এসআই জানায় গ্রামবাসী আমাকে যেতে দিচ্ছে না। পরে আমি তাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে দিয়ে আসি।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, এলাকায় জাতীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের আগমনে আমি সেই ডিউটি তদারকিতে ছিলাম। এই মাত্র থানায় আসলাম। বিষয়টি আমি জেনে বিস্তারিত জানাতে পারব।