লিয়ন মীর: করোনার চলমান সংক্রমণের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ৩ হাজার দু’শ কোটি টাকার পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা দেন তিঁনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই প্রণোদনা প্যাকেজ জনজীবনে স্বস্তি বয়ে আনবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
তিঁনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই প্রণোদনা প্যাকেজ যেমন জনজীবনে স্বস্তি বয়ে আনবে তেমনি অর্থনীতিতেও নতুন গতি আসবে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ কিছুটা হলেও তাঁদের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারবে। তাতে করে কিছুটা হলেও ভারসাম্য ফিরবে।
তিঁনি আরো বলেন, করোনায় যাঁরা একেবারে পথে বসে গেছে তাঁদের জন্য এই প্রণোদনা প্যাকেজ নতুন আশা জাগাবে। আবার কেউ কেউ হয়তো নতুন জীবন ফিরে পাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিঁনি বলেন, লক্ষ্য করলে দেখা যায়- সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। আশা করি সুষ্ঠু বন্টন হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সবাই এই প্রণোদনার আওতায় আসবে কিনা তা নিয়ে এখন মন্তব্য করার সঠিক সময় নয়।
উল্লেখ্য, নতুন পাঁচটি প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে-
ক. দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নৌপরিবহন শ্রমিকদের জন্য জনপ্রতি নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার জন্য ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
খ. শহর এলাকার নিম্নআয়ের জনসাধারণের সহায়তার লক্ষ্যে ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরাদ্দ ১৫০ কোটি টাকা।
গ. ৩৩৩-নম্বরে জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা।
ঘ. গ্রামীণ এলাকার কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফ-এর মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে (৪ শতাংশ সুদে) এর আগে বরাদ্দ ৩ হাজার ২শ কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
ঙ. পর্যটনখাতের হোটেল মোটেল, থিম পার্কের জন্য কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সহায়তা দিতে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।