চীনকে মোকাবিলায় নিরাপত্তা চুক্তি অকাস নিয়ে রাষ্ট্রদূতদের তলবের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছে ফ্রান্স। বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়।
ফ্রান্স টু টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইভেস লে ড্রিয়ান একে বিশ্বাস ভঙ্গের বড় উদাহরণ বলে দাবি করেছে। এটা মিত্রদেশগুলির মধ্যে একটি গুরুতর সংকট বলেও দাবি করেছেন।
লে ড্রিয়ান আরও বলেন, রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার ‘অত্যন্ত প্রতীকী’ একটি বিষয়। এই তিন জাতি চুক্তি নিয়ে আমরা যে কতটা উদ্বিগ্ন এবং তা আমাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি গুরুতর সংকট, এটা প্রকাশ করার জন্যই আমাদের এই অবস্থান।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের সম্পর্কের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো আমরা আমাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু। এটি করার একমাত্র কারণ হলো, আমাদের দেশগুলির মধ্যে যে সংকট রয়েছে তা তুলে ধরা।
এর আগে ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা চুক্তির ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কায় ওয়াশিংটন ও ক্যানবেরায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতদের তলব করা হয়। চীনকে মোকাবিলায় সম্প্রতি একটি নিরাপত্তা চুক্তি ঘোষণা করে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। নতুন এ চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হয় ফ্রান্সের। ত্রিদেশীয় চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্সের নকশায় সাবমেরিন তৈরির একটি চুক্তি বাতিল করে। এর আগে ফ্রান্স এক বিবৃতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরকে ‘পেছন থেকে বা পিঠে ছুরি মারা’ বলে অভিহিত করে।
‘অকাস’ নামের চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন অর্জনে সহযোগিতা করা হবে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র গত পঞ্চাশ বছরে যুক্তরাজ্যের বাইরে প্রথম তার সাবমেরিন প্রযুক্তি অন্য কাউকে দিতে যাচ্ছে। মূলত বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের প্রভাব কমাতেই এই চুক্তি বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ঘোষণায় চীনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ চুক্তির কঠোর সমালোচনা করেছে চীন। একে ‘চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘সংকীর্ণ মানসিকতা’ হিসেবে মন্তব্য করেছে বেইজিং। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই জোট গঠনের কারণে আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।