সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি: নরসিংদীতে চলতি মৌসুমে জাতীয় ফল কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। রমজানের কারণে হাট-বাজারে কাঁঠালের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা।
চাষিরা জানান, নরসিংদীর ছয়টি উপজেলার সর্বত্রই কাঁঠাল কমবেশি উৎপাদিত হলেও শিবপুর, বেলাব, পলাশ, মনোহরদী ও রায়পুরা উপজেলার লালমাটি অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকার চাষিরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাঁঠালের আবাদ করে আসছে।
নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর নরসিংদীতে ২ হাজার ১৬ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে শিবপুর উপজেলায় সর্বাধিক ১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ করা হয়েছে। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে বেলাব ৩৪৫ হেক্টর, মনোহরদী ২৭৫ হেক্টর, রায়পুরা ১৭৬ হেক্টর, পলাশ ৫০ হেক্টর ও নরসিংদী সদরে ২০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের আবাদ হয়েছে। নরসিংদীতে এখন কাঁঠালের ভরা মৌসুম চলছে। জেলার কাঁঠালের হাট-বাজারে বিপুল পরিমাণ কাঁঠাল উঠছে। রমজানের কারণে চাহিদা অনেকাংশ হ্রাস পেয়েছে, ফলে বাজারে কাঁঠালের জোগান থাকলেও ক্রেতার অভাব প্রচুর। একটি বড় সাইজের কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। ছোট সাইজের কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত জেলার কাঁঠালের হাটগুলো জমে ওঠে।
বেশ কয়েকটি পাইকারি হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় হাটই পাইকারশূন্য, কয়েকটি হাটে অল্পসংখ্যক পাইকার থাকলেও নেই তাদের মধ্যে কোনো ব্যস্ততা। শিবপুর উপজেলার ছোটাবন এলাকার কাঁঠাল বাগান মালিক ওমর আলী জানান, গত ৩০ বছর আগে প্রায় দেড় একর জমির ওপর তার কাঁঠাল বাগান প্রতিষ্ঠা করেন। তার বাগানে মোট ৫১৪টি কাঁঠাল ও লটকনের গাছ আছে। এ মধ্যে ৩৭২টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে।
নরসিংদীর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র গায়েন নরসিংদীর কাঁঠালচাষিদের প্রশংসা করে বলেন, বিগত সময় অপেক্ষা এবার কাঁঠালের ফলন ভালো হয়েছে।