মোঃসোহেল রানা, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : দেশের উত্তরের কৃষি স্বনির্ভর জেলা ঠাকুরগাঁও। নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও বোরোর পর আমন রোপন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষকেরা।তারা যেন অপেক্ষায় ছিলো কবে বৃষ্টি আসবে আর কবে তারা আমন রোপন করবে।কেউ বোরোর চারা তুলছেন আবার কেউ সে চারা রোপন করছেন। সবকিছু মিলিয়ে একই চিত্রের দেখা মেলে জেলার প্রতিটি উপজেলা ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মাঠে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভেলাজান, পাহাড় ভাংগা , খোঁচাবাড়ি, দানারহাট, বরুনাগাঁও সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় আমনের চারা উঠানো ও রোপন করার দৃশ্য। এতে দল বেঁধে শ্রমিকেরা কোথাও আমনের চারা তুলছেন, আবার কোথায় চারা রোপন করছেন। জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি জাতের ধান আবাদ করা হবে বলে জানান স্থানীয় কৃষকেরা।
সদর উপজেলার পাহাড় ভাঙ্গা এলাকার কৃষক মোঃফয়জুল ইসলাম জানান, প্রত্যেক বছরের মত এ বছরও তিনি ২ বিঘা জমিতে আমন লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতিমধ্যে চারা রোপনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে এবং ইতোমধ্যে শ্রমিক নিয়োগ করে চারা রোপনে ব্যাস্ত সময় পার করছেন তিনি । তিনি আরো জানান যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে তাহলে ভালো ফসল উৎপাদন সম্ভব।
আরেক কৃষক মোঃআমিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন যাবত উত্তরাঞ্চলসহ তথা ঠাকুরগাঁও জেলায় অনাবৃষ্টি ছিলো। এখন যথেষ্ট পরিমাণে জমিতে পানি রয়েছে। যার কারনে আমরা আমাদের আমন রোপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৮০ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ২০ হাজার ৪শ ৫০ মেট্রিক টন। ইতিমধ্যে কৃষকেরা জেলায় মোট ৩শত ২০ হেক্টর জমিতে চারা রোপন করেছেন।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে আরো জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা অন্যান্য ফসলের ন্যয় ধানের জন্যও বিখ্যাত। প্রচুর পরিমানে ধান এ জেলায় উৎপাদন হয়। প্রত্যেক বছর আমন মৌসুমে কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রদান করা হয়। এ বছরও দেওয়া হয়েছে।পরিস্থিতি একটু ভাল হলেই লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ধান উৎপাদন হবে এবং কৃষকেরা এ বছরও ধানের ন্যয্য মূল্য পাবেন বলে আশা ব্যাক্ত করেন কৃষি অধিদপ্তর।