কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চাপাইগাছি গাজী কালু চম্পাবতী মেলার নামে অবৈধ র্যাফেল ড্রয়ের লটারি, অশ্লীল নৃত্য, জুয়াসহ সকল অবৈধ আসর ভেঙে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড বাদে এ মেলা অনুমোদিত সময় পর্যন্ত চালু থাকবে।
কিন্তু পুনরায় এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালালে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার আয়োজকদের সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চাপাইগাছি গাজী কালু চম্পাবতী মেলায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীদুল ইসলাম।
এ অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন কুমারখালী থানার পুলিশ সদস্য ও নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মচারী এবং আনসার সদস্যরা।
এদিকে মেলায় উপজেলা প্রশাসন অভিযানের মাধ্যমে মেলায় চলমান অবৈধ র্যাফেল ড্রয়ের নামে লটারি, খরগুটি (জুয়া) ও নারীদের অশ্লীল নৃত্য বন্ধের কথা শুনে সন্তোষ প্রকাশসহ আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
আলিফ শেখ নামে এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানায় দেড়িতে হলেও এসব অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য। এসব কর্মকাণ্ড চললে এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেরা কয়দিনেই নষ্ট হয়ে যেত। এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়াতে আমরা খুব খুশি হয়েছি।
মনির নামে এক শিক্ষক বলেন, কদিন বাদেই স্কুলের পরীক্ষা এর মধ্যে রাত ভরে অশ্লীল গান আর লটারির মাইকের শব্দে শিক্ষর্থীরা পড়াশোনা করতে পারছিলো না। এই অভিযানের ফলে অনেক মাইক বন্ধ হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারবে।
লিটন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এই অভিযানে আমরা খুশি হয়েছি। লটারি, জুয়া আর অশ্লীল নৃত্য এসবে এলাকার ছোট ছোট ছেলেরা অশক্ত হয়ে যাচ্ছিলো। এলাকায় অপরাধ বাড়ছিলো। অর্থনৈতিক এবং চারিত্রিক দিক দিয়ে এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলো। এই অভিযানের ফলে এসবের হাত থেকে এখন এলাকার মানুষ রক্ষা পেল। তবে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রইলো কদিন বাদে মেলার আয়োজকরা আবার এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড যাতে চালু করতে না পারে সেদিকে যেন তারা লক্ষ্য রাখেন।
এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, মেলার অনুমতি নিয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছিলো। মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে মেলায় অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে অশ্লীল নৃত্য, জুয়া, লটারিসহ সকল অবৈধ আসর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে ঐতিহ্যবাহী এ মেলা চলবে। কিন্তু পুনরায় অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেই পুরো মেলা বন্ধ করে দেওয়া হবে।