বিকাশ চন্দ্র প্রাং বগুড়ার আদমদীঘিতে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্ঠা চালায় মতিউর রহমান। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে সোহাগসহ ৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে ওই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার মূল নায়ক মামলার ২নং আসামী মতিউর রহমানকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার মুল আসামী সোহাগ ও অপর আসামীকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জুন দিবাগত রাতে উপজেলা সদরের পাইকপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে লম্পট সোহাগ রাত অনুমান ১১ টার সময় একই গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে লম্পট সোহাগকে হাতে নাতে আটক করে। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে লম্পট সোহাগের ঘনিষ্ঠ জন প্রতিবেশী সখিন আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান ও তার ভাই নাঈন ঘটনাস্থলে এসে সোহাগকে জোড়পূর্বক ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী নিজেই বাদী হয়ে গত ২৩ জুন বৃহস্পতিবার রাতে থানায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারী অফিসার উপ পরিদর্শক হযরত আলীসহ সঙ্গীয়ফোর্স অভিযান চালিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার মূল নায়ক যুবলীগ নেতা মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা মামলা দায়েরের কথা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর দুই আসামী পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেফতারের তৎপরতা চালানো হচ্ছে।