সামরুজ্জামান (সামুন), কুষ্টিয়া দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টি করে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও হামলা করে শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির সামনে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন উদ্দোগে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রগতিশীল নাগরিক অধিকার রক্ষা পরিষদের ব্যানারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গ সংহতি জানাতে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত দিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টি করে একের পর এক শিক্ষকদের উপর নৃসংশ হামলা, মারধরসহ লাঞ্ছিত করা এবং হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় জাতির মেরুদণ্ড নির্মাণের কারিগর শিক্ষক সমাজ চরম বিপন্নের মুখে দাঁড়িয়ে আগামী দিনের যোগ্য নাগারিক গড়ে তোলার কাজ করতে ব্যর্থ হবেন বলে আশঙ্কা করেন নেৃতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ রেজাউল করিম বলেন, সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা নীতিমালা পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। নড়াইলের কলেজ শিক্ষকের উপর হামলার সাথে ওই কলেজের পরিচালনা পরিষদের ক্ষমতা দখল পাল্টা দখলের দ্বন্দ্বের সংঘটিত ঘটনার বলির পাঠা হয়েছেন উপাধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। অবিলম্বে শিক্ষক নির্যাতন ও নিপীড়নসহ হত্যাকাণ্ডের সব কয়টি ঘটনার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার নীতিমালা পরিবর্তনসহ প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করে সঠিক বিচার করতে হবে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সরওয়ার মোর্শেদ বলেন, জাতির মেরুদণ্ড নির্মাণকারী শিক্ষক নিজেই যেখানে সম্মান ও মর্যাদাহানির শিকার হন, হামলার শিকার হয়ে নিহত হন তখন এই জাতি গড়ার যে দায়িত্ব শিক্ষকের উপর বর্তায়, তা পালন হয়ে যায় অনিশ্চিত। তাই সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় উস্কানি সৃষ্টি করে কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছনা এবং ঢাকার সাভারে উৎপল কুমার সরকারকে হামলা করে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড হাফিজ সরকার এবং সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কারশেদ আলম প্রমুখ।