কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে কিশোর গ্যাং চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে র্যাব সদস্যরা। এই অভিযানে চারটি কিশোর গ্যংয়ের ২০ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের শুক্রবার রাত ১১ টায় ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের কাছে শোপর্দ করা হয়েছে। সিপিসি কোম্পানী র্যাব-৮ বরিশালের ডিএডি নায়েক সুবেদার কাজী নজরুল ইসলাম দৈনিক দূরযাত্রাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে শুক্রবার রাতেই পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি মিলেছে প্রত্যেকের।
ডিএডি নজরুল ইসলাম আরো জানান, ‘বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য এবং স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে আমরা জেনেছি ঝালকাঠি জেলা শহর এলাকায় কিশোর গ্যাং চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরা বিভিন্ন সময়ে মারপিট, ইভটিজিং, চুলের উগ্র কাটিং, হাফপ্যান্ট, শরীরে ট্যাটু আঁকা সহ উগ্র বেশ-ভূষায় দলগতভাবে চলাফেরা করে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। শুক্রবার ৩১ মে বিকেলে চারটি গ্যায়ের দলনেতাসহ ২০ জনকে আটক করে এদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার সুপারিশ সহ শুক্রবার রাত ১১ টায় ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।’
ঝালকাঠি পৌর মিনিপার্ক থেকে আটককৃতরা হলো শিহাব গ্রুপের প্রধান মো. শিহাব, আজিজুল হাওলাদার, রবিন হাওলাদার, মো. রুমান, মো. হৃদয়।
জেলা নির্বাচন অফিস এলাকা হইতে আটককৃতরা হলো সাব্বির গ্রুপের প্রধান মো. সাব্বির খান, মো. গোলাম মোর্শেদ, মো. মারুফ, মো. রাফি হাওলাদার, মো. স্বাধীন হাওলাদার।টেকনিক্যাল স্কুল এলাকা থেকে আটককৃতরা হলো রাফিম গ্রুপের প্রধান মো. রাফিম ইসলাম জিসান, মো. শান্ত মাঝি, মো. নাজমুল খান, জিহাদ হাওলাদার, সিদ্দিকুর রহমান শাওন।
মহিলা কলেজ এলাকা থেকে আটককৃত সজিব গ্রুপের প্রধান মো. সজিব হাওলাদার, জুবায়ের খলিফা, রনি হাওলাদার, মো. রমজান হোসেন, হামিম খলিফা।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ‘কিশোর গ্যাংয়ের ২০ সদস্যকে আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে শুক্র রাত ১১ টায় ঝালকাঠি সদর থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। যেহেতু এদের বয়স ১৭ থেকে ২১ বছর এবং অনেকেই শিক্ষার্থী সেই বিবেচনায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করে দিয়েছি।