অসীম রায় (অশ্বিনী), বান্দরবান: কবিগুরু বলেছিলেন –রঙ যেন মোর মর্মে লাগে “”‘রঙিন আভা ছড়ানো কৃষ্ণচূরা যেন তাই বলছে।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য জেলা বান্দরবান। প্রকৃতির নিয়মে এবারও জেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, পার্বত্য জেলা পরিষদ, জজ কোর্ট, জেলা প্রসাশক,পুলিশ সুপার অফিস,সরকারি কলেজ, সদর হাসপাতালের চত্বর বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,,হর্টিকালচার, রাজার মাট সহ বিভিন্ন সড়কের পাশে এবং আনাচে-কানাচে ফুটেছে মৌসুমি বাহারি রঙের ফুল। ডানা মেলেছে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু, জারুলসহ নানা ফুল।
কিন্তু এবার যেন মলিন ফুলের সৌন্দর্য গন্ধে। কারণ যাদের জন্য প্রকৃতির এই রূপ সেই মানবজাতি রয়েছে চরম দুর্যোগে। তবে প্রকৃতি তার রঙ্গিন আভা দিয়ে করোনা ম্লান করে দেবে বিশ্বাস সবুজপ্রেমীদের।
বান্দরবানের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও লেখক মো. আমিনুর রহমান প্রামানিক পানকৌড়ি নিউজ কে বলেন, আমারও বাগানে ফুল ফুটেছ দেখার লোকজন নাই রসিক ভমর আসলো না। বান্দরবানের চারিদিকে প্রকৃতি এখন নতুন সাজে সেজেছে। কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, সোনালু ফুলে ছেয়ে গেছে বান্দরবান শহরের, অফিস ও আদালত, বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ও সড়কের দুই পাশ। প্রকৃতির এই নতুন সাজ আমাদের মনে এনে দিচ্ছে প্রশান্তি।
বান্দরবান বেতার কেন্দ্রের উপস্থাপিকা শিরিন কারন বলেন, এই সময়ে যখন আমাদের মনে বিষণ্নতা বিরাজ করছে ঠিক তখন বান্দরবানের প্রকৃতিতে ফুটেছে নানা ফুল, আর এই ফুলের শোভায় আমরা সুরভিত হচ্ছি।
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুবাতাস নিশ্চিত করা আর পর্যাপ্ত অক্সিজেন সৃষ্টির পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে ফলজ ও বনজ চারা লাগানোর আহ্বান জানান পরিবেশ প্রেমীরা।
ডাঃ জ্যোতিময় মুরুং, (কনসালটেন্ট এন্ড ডায়াবেটোলজিষ্ট, ইমানুয়েল মেডিকেল সেন্টার) দেশসংবাদকে বলেন, প্রকৃতিক প্রেমিক বান্দরবানের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুবাতাস নিশ্চিত করা আর পর্যাপ্ত অক্সিজেনের সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে যেমন, নিম, বেল, অর্জুন, ফলজ ও বনজ চারার পাশাপাশি ফুলের গাছ লাগাতে হবে এতে প্রকৃতির রূপ ও সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি আমাদের অক্সিজেনের ঘাটতি অনেকটাই কমে আসবে।
বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পর্যটন নগরী বান্দরবানকে আরো সুন্দর করে সাজাতে ফলজ, বনজ চারার পাশাপাশি আরো ফুলের চারা রোপণ করা হবে। এতে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকৃতির শ্রী অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার বলেন, বান্দরবানে বৃক্ষরোপণ বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বান্দরবানের প্রধান সড়কে প্রচুর গাছ লাগিয়েছি সেগুলো আজ বড় হয়ে ফুলে ফুলে ভরপুর হচ্ছে। বনবিভাগের পাশাপাশি প্রত্যেক জনসাধারণকে নিজ দায়িত্বে আরো গাছ লাগিয়ে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
সূত্র – বন বিভাগ থেকে আরো জানান , এ বছর বান্দরবান বনবিভাগ থেকে বিনামূল্যে বিভিন্নস্থানে বিতরণের জন্য ৮০ হাজার ৮০০ ফলজ, বনজ ও ফুলের চারা উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং বর্ষা শুরু হলেই আমরা চারাগুলো বিতরণ শুরু করবো।