সামরুজ্জামান (সামুন), কুষ্টিয়া: বাগান করার শখ ছিলো ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু সেটি বাস্তব রূপ নিতে শুরু করে ২২ সাল থেকে। প্রতিবেদন বর্তমানে ফল, শাক-সবজি ও দেশি-বিদেশি ফুল ফলের গাছ দিয়ে কুমারখালী পৌর সভার ৪ নং ওয়ার্ড কুন্ডপাড়ায় নিজের চারতলা বাড়ির ছাদে বাগান করেছেন তিনি। শখের বশে করা বাগান থেকে বেশ লাভবান হচ্ছেন রাজু আহমেদ। এখানেই শেষ নয়, ফুল ও সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মুরগি ও কবুতরও পালন করছেন তিনি।
চাকরির জন্য পরিচর্চার সময় না পাওয়ায় এই বাগানের সম্পন্ন পরিচর্চা সহ দেখাশোনা দায়িত্ব পালন করছে রাজু আহমেদের দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া বড় ছেলে আসিফ ও তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রী মাইমুনা সহ ভাতীজি সোহাগী। রাজু আহমেদ এর ছাদের বাগানে রয়েছে, লেবু, পেয়ারা, ডালিম, মালটা, পুঁইশাক, কাচা মরিচ ও লাউগাছ। ফুলের মধ্যে রয়েছে প্রায় বিভিন্ন জাতের গোলাপ, তিন ধরনের ক্যাকটাস, জবা। কবুতরের মধ্যে রয়েছে গিরিবাজ, পাংকি, সিরাজী, প্রজাতির প্রায় ৭০ জোড়া, ও দেশি মুরগি রয়েছে প্রায় ৫০ পিছ যা থেকে প্রতিদিন ডিম পাচ্ছে ৭ হালি করে। প্রতি মাসে কবুতর ও মুরগির পিছে রাজু আহমেদ ব্যায় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। তিনি দেশি মুরগি, মুরগির ডিম ও কবুতর বিক্রি করে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করেন।
এবিষয়ে রাজু আহমেদ বলেন, শখের বশে ও ভেজাল মুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য বাড়ির ছাদে বাগান ও খামার করছেন তিনি। এ বাগান থেকে প্রচুর পরিমাণে সতেজ শাক-সবজি ও ফল সংগ্রহ করেন। বাগানের এসব শাক-সবজি ও ফল বাইরের বিক্রি করে ও প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের ও উপহার দিতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। নিজে সাবলম্বী হয়ে অন্যদের কেউও ছাদ বাগান করার আহবান তার। ছাদ বাগান মালিক – রাজু আহমেদ।
এবিষয়ে তার ছেলে মেয়েরা বলেন , আমার বাবা সারাদিন অফিসে থাকে এজন্য ছাদের বাগান ও খামার দেখাশোনা সহ সকল পরিচর্চা আমরা করি। এই ধরনের কাজ করে আমাদের খুব ভালো লাগে।
কুমারখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, কুমারখালীতে বাড়ির ছাদে বাগান করা দিন দিন বাড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেক ব্যক্তি বাড়ির ছাদে বিভিন্ন ফুল, ফল ও শাক-সবজির বাগান করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রায়ই এসব বাড়ির ছাদের বাগান পরির্দশন করা ও রোগ নির্মুল এর জন্য দেওয়া হয় পরামর্শ।
এবিষয়ে কুমারখালী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, রাজু আহমেদ কে কবুতর ও দেশী মুরগি পালনের জন্য তাকে সর্বচ্চ সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিনামূল্যে তার খামারের পশুপাখিদের চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, রাজু মতো ছাদে কবুতর ও দেশি মুরগী পালনের জন্য শহরের খামারিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।