অসীম রায় (অশ্বিনী), বান্দরবান: তিন পার্বত্য জেলায় এখন মধুমাস চলছে। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু হরেক রকম মৌসুমি ফলে বাজার সয়লাব।’ প্রতিবেদক সুযোগ বুঝে জসীমউদ্দীনের কবিতার দুটি লাইনও তুলে ধরলাম , ‘পাকা জামের মধুর রসে/ রঙিন করি মুখ’।
শব্দ কিন্তু সব নিয়মকে অগ্রাহ্য করে নতুন অর্থও ধারণ করতে পারে। আমরা যেভাবে সবাই মিলে জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধুমাস বলছি, ভবিষ্যতের অভিধানও মধুমাস বলতে জ্যৈষ্ঠকেই নির্দেশ করতে থাকবে। প্রথম প্রথম অবশ্য অর্থের অপপ্রয়োগ হিসেবেই দেখাবে।’
আম, লিচু ও কাঁঠাল, জামরুল,আনারস, জাম আর কলার সুগন্ধে জিহ্বায় জল এসে ফল খাওয়ার জন্য মনকে জাগিয়ে তুলছে।
সরেজমিনে তিন জেলায় বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের বিভিন্নস্থানে আম, লিচু, তাল, কাঁঠাল আর কলা নিয়ে বসেছে মৌসুমি ফল বিক্রেতারা আর বাজার জমে উঠেছে কেনাকাটায়।
সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে আম তবে লিচু ও রয়েছে বাজার জুড়ে।
এবার মৌসুমি ফলের ফলন ভালো হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দাম এখনও সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
প্রতিকেজি সুস্বাদু স্থানীয় জাতের আম যথাক্রমে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, একইভাবে ১৩০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে দিনাজপুরের লিচু ২৫০ টাকায়।
পাইকারি ফল বিক্রেতা জুনু আহমদ পানকৌড়ি নিউজ কে জানান, স্হানীয় বাগান, কেরানীহাট, চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন রকমের আম ও লিচু প্রচুর চাহিদা।
ছোট-বড় সবই মিষ্টি। ছোট কাঁঠাল ৩০ টাকা জোড়া আর বড়গুলো ১৫০ থেকে ১২০ টাকা। প্রচণ্ড গরমে বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
ফল বিক্রেতা তমিজউদদীন বলেন, তিন জেলায় এখন তাল বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। ছোট তাল প্রতিপিস ১৫-২০ টাকা আর বড়তাল ৩০-৪০ টাকা বিক্রি করছি। অনেকেই রাস্তার ধারেই তাল কেটে খাচ্ছে আর অনেকে ব্যাগে করে পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছে।
মধুমাসের রসালো ফলের সরবরাহ বাড়ায় সন্তুষ্ট ক্রেতারা। পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত ফলে বিষাক্ত কোনো ফরমালিন ব্যবহার না করায় ক্রেতারা ও কিনছে নির্দ্বিধায়। বাগান মালিক সমিতির সিরাজুল ইসলাম জানান যে প্রতিদিন রাঙ্গুইন আম ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে – কেজি খরচ ২৫/ ২০ কাঁচা আম এবার আবহও ভালো ছিল তাই ফল বেশি দামও পাচ্ছি।
বাজারে আম কিনতে আসা ক্রেতা বাবুল কর্মকার বলেন, বাজারে অনেক ফল উঠেছে, আম কিনবো নাকি লিচু না তাল বুঝতে পারছি না। বাজারে ফলের এই মজুদ দেখে সত্যিই ভালো লাগছে, সার্মথ্য অনুযায়ী ক্রয় করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছি।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান -পানকৌড়ি নিউজ কে বলেন, বান্দরবানে এখন বাজারজুড়ে অসংখ্য মৌসুমি ফল রয়েছে। আর আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতিদিনই আমাদের যেকোনো একটি ফল খাওয়া প্রয়োজন। ফলের মাধ্যমে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে পুষ্টির চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়।