হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কী কারণে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা ৭ দিনের মধ্যে তা জানাতে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় পৌর এলাকার বালিজুড়ী বাজারের ঠাকুরবাড়ি মোড়ে রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুর নেতৃত্বে রায়হান কিবরিয়া রিমনসহ ৪-৫ জন সন্ত্রাসী স্থানীয় সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী নওশের আলী ও তার ছেলে মো. আব্দুল্লাহর উপর হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নওশের আলী মারা যান। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমু চার্জশিটভুক্ত আসামি।
সম্প্রতি রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুর ফাঁসির দাবিতে বাদীপক্ষ জামালপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। এ ঘটনাসহ রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমু উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সভাপতি ও রূপসী বাংলা সমবায় সমিতির পরিচালকের দায়িত্বে থাকাকালে সাধারণ মানুষের আমানতের ৩-৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে তার সঙ্গে রিমুর নাম জড়িয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি হওয়ায় গত শনিবার মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মাসিক সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য রায়হান রহমতুল্ল্যাহ রিমুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।