মুহাঃ কবির হোসেন: সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ।জীবন পথের পথিক।মানুষ তার জীবনের স্বার্থে জঙ্লাকৃতির এ পৃথিবী সৃষ্টির
শুরুলগ্ন থেকে প্রজ্ঞার সাথে জ্ঞান দিয়ে আবাদ করে মঙ্গলের পথ তৈরি করে আসছে। সৃজনশীলতার পরম স্বার্থকতা জ্ঞান বিজ্ঞানের পদচারণে সহজ থেকে সহজতর হয়েছে মানুষের জীবন যাত্রা। সময়ের আবর্তনে সে আদিম ইতিহাস আজকের বা, আগামী প্রজন্মের কাছে কতখানি বিশ্বাসযোগ্য যে ,তখন মানুষ ইশারা ইঙ্গিত করে কিংবা চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতো।আবাসস্থল আর আশ্রয়স্থল বলতে কোন পার্থক্য ছিলো না।
কাচা শিকারী ভক্ষণ করতো।আজ পৃথিবী যেমন সৃজনশীল অপরদিকে হাতের মুঠোয়। আবিষ্কার হচ্ছে নিত্য নতুন পথ ও পাথেয়। মঙ্গলগ্রহ , মহাকাশ-সৌরজগৎ সহ অথৈ পাতাল ফুঁড়ে বিজ্ঞান চষে নিয়ে আসছে অজানা যতসব নিদর্শন। অধুনা ও অবিশ্বাস্য আবিস্কারের দ্বারা টনক নাড়িয়ে আজ বিশ্ব স্থলপথ থেকে শুরু করে নৌ পথ আবিষ্কারের কোন অন্ত নেই।এজন্যই পথের আবিষ্কারক পথিক।উপমা স্বরূপ- আভিজাত্য ও আকারের দিক থেকে ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’ টাইটানিকের চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে। প্রায় পাঁচটা টাইটানিক ঢুকে যাবে এর মধ্যে। বা চারটি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়।ঘটনা হল, এতদিন পৃথিবীতে সর্ববৃহৎ জাহাজ হিসেবে বিখ্যাত ছিল ইনডিপেন্ডেন্স/ফ্রিডম অফ দ্য সিজ।
যার তুলনায় ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’ পাক্কা ৭৫ ফুট বেশি লম্বা। আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের দাবি, বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল জাহাজের নাম ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিজ’। বাংলায় যার মানে দাঁড়ায় ‘সমুদ্রের বুকে একটুকরো মরূদ্যান’।এভাবে পথিক প্রতিনিয়তই নতুন পথ তৈরি করে চলছে।সাগরে ঢেউ অন্তহীন।সব ঢেউ কিনারে আসেনা। না তার জল কলসে কলসে মেপে ধরে এনে সাগরকে জলশূন্য করা যাবে! তদ্রূপভাবে পৃথিবীর ভূস্তরসমূহ এবং বায়ূমন্ডল যেখানে পৃথিবীর শেষ সীমানা রয়েছে এতটুকুর মধ্যবর্তির নিদর্শন গুলোর রহস্য উদ্ঘাটন বা, আবিষ্কারও পরিপূর্ণ সাফল্যের সমাধানে পৌঁছতে পৃথিবীর আদি থেকে যেমন চলে আসছে, অন্ত পর্যন্তই অবিরত চলবে। তবুও নতুন আবিষ্কারের অন্তহীন।